ড. আসিফ নজরুল
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমূল্য কিছু দলিল বিনিময় হয় আশির দশকের প্রথম ভাগে। এর আগে ১৯৭৭ সালে দুটি দেশ গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির পাঁচবছর একটি মেয়াদি চুক্তি করে। চুক্তিতে একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য অন্যান্য নদীর পানির সাহায্যে শুকনো মৌসুমে গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ নেপালে জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। অন্যদিক ভারত নেপালের অন্তভু�ক্তির বিরোধিতা করে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার উজানে ভারতীয় অঞ্চলে জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবগুলো দুই দেশ আদান-প্রদান করে ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে। ১৯৮৩ সালে দুটি দেশই তাদের প্রস্তাবগুলো আপডেটেড বা নবায়ন করে। ১৯৮৫ সালের মে মাসে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন দুই দেশের প্রস্তাব এবং এগুলোর ওপর পারস্পরিক মন্তব্য গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে। গ্রন্থটির নাম আপডেটেড প্রোপোসালস অ্যান্ড কমেন্টস অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া অন অগমেন্টেশন অব দ্য ড্রাই সিজন ফ্লোস অব দ্য গ্যাঙ্গেস। টিপাইমুখ ড্যাম সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায় উপরিউক্ত গ্রন্থে ভারতের প্রস্তাবের অংশে। সেখানে ব্রহ্মপুত্রের উজানে জলাধার নির্মাণ করে সেই পানি গঙ্গায় টেনে নেওয়া-সম্পর্কিত বহুল আলোচিত রিভার-লিংকিং প্রজেক্ট সম্পর্কেও বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এই নিবন্ধে শুধু টিপাইমুখ ড্যাম নিয়ে কিছু তথ্য দিচ্ছি। ভারতের প্রস্তাবের বর্ণনা অনুযায়ী টিপাইমুখ ড্যামের উচ্চতা ১৬১ মিটার, এটি লম্বায় ৩৯০ মিটার, এর অবস্থান হবে বরাক নদী (যা বাংলাদেশে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে প্রবাহিত) এবং ত্যুভাল নদীর সংগমস্থলের ঠিক নিচে এবং টিপাইমুখ ড্যাম বা জলাধারের মোট পানি ধারণক্ষমতা হবে ১৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন কিউবিক মিটার। ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন লার্জ ডা�মের প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুসারে ১৫ মিটার বা তদূর্ধে�র উচ্চতাসম্পন্ন এবং তিন মিলিয়ন কিউবিক মিটার বা এর বেশি পানির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ডা�মই হচ্ছে বড় ড্যাম বা লার্জ ড্যাম। ভারতের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি এই মাপের কয়েকগুণ বড় বলে এটি শুধু বড় নয় অতিবৃহৎ একটি প্রকল্প। ২� ভারতের প্রস্তাবে স্বীকার করা হয়েছে যে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মিত হবে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় এবং এখানে ১৯১৮ সালের শ্রীমঙ্গল ভূমিকম্পের অনুরূপ রিখটার স্কেলের ৭ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্প ভবিষ্যতে ঘটতে পারে। কোনো প্রকার তথ্য-উপাত্ত না দিয়ে অবশ্য প্রস্তাবে এটিও দাবি করা হয়েছে যে, ভূকম্পনগতভাবে নিরাপদ একটি ড্যামের ডিজাইন এখানে করা সম্ভব। ড্যামের নির্মাণ ও অপারেশন ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়াবে কি না, সে সম্পর্কে প্রস্তাবে অবশ্য কিছু বলা নেই। ভারতের প্রস্তাবে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মিত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এবং আসাম, সিলেট ও ঢাকাতে বন্যার প্রকোপ কমবে বলে বলা হয়েছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিপুরের ফুলেরতলে ব্যারাজ এবং সংযোগ খাল (ফারাক্কা ব্যারাজের অনুরূপ) নির্মাণ করা হলে ভারতের ৩ দশমিক ১ লাখ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই প্রজেক্টের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কলকাতা এবং শিলচরের মধ্যে একটি নৌচলাচল পথও সৃষ্টি হবে বলে ভারতের প্রস্তাবে বলা হয়েছে। পরিকল্পনা মোতাবেক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই প্রজেক্টের কারণে কোনো পরিবেশগত ক্ষতি হবে না বলে প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে। টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ করা হলে এসব সুবিধা হবে বলে ভারত যেসব দাবি করেছিল, বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তীব্রভাবে নাকচ করে দিয়েছিলেন। এই ড্যামের কারণে বাংলাদেশের সিলেট বা ঢাকা অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ কমবে না, বরং বন্যার প্রকৃতি আরও বিচিত্র আকার ধারণ করবে। এই ড্যামের কারণে কৃষি, মৎস্যসম্পদ, নৌপরিবহন ও পরিবেশ বিপন্ন হবে। ফুলেরতল ব্যারাজ নির্মিত হলে শুকনো মৌসুমে পানির মারাত্নক সংকট সৃষ্টি হবে এবং বাংলাদেশের একটি বিরাট এলাকায় সমুদ্রের লোনা পানি ঢুকবে-অতি সংক্ষেপে বললে বাংলাদেশের আপত্তির কারণগুলো ছিল এই। আন্তর্জাতিক নদীর ওপর কোনো দেশ বৃহৎ আকৃতির ড্যাম নির্মাণের পরিকল্পনা নিলে সেই নদীর অববাহিকতার দেশ সব ক্ষেত্রেই এ ধরনের প্রতিবাদ জানিয়ে থাকে। প্রকল্প গ্রহণকারী দেশ দাবি করে থাকে যে প্রকল্পের সুবিধা বেশি, আপত্তিকারী দেশগুলো বলে থাকে, ক্ষতি অনেক বেশি। কোন দাবি সঠিক, তা পরিপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ না করে জানা অসম্ভব বলে আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের প্রকল্প চূড়ান্ত করার আগে অবশ্যই অববাহিকার দেশগুলোকে প্রকল্পটি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে অবহিতকরণ এবং এর ভিত্তিতে আলাপ-আলোচনার বাধ্যবাধকতা আছে। ভারতে বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত টিপাইমুখ ড্যাম প্রকল্পের চূড়ান্ত ডিজাইন, এর প্রকল্পপত্র, এ সংক্রান্ত সমীক্ষা, পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন রিপোর্ট সরবরাহ করেনি। ১৯৭৯ ও ১৯৮৩ সালে এ সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল একটি প্রাথমিক প্রস্তাবনা, এর সঙ্গে কোনো সমীক্ষা বা পরিবেশ মূল্যায়ন রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। এ ধরনের কোনো বিশদ সমীক্ষা তখন পর্যন্ত চালানোও হয়নি। ৩� টিপাইমুখ ড্যাম প্রকল্প-বিষয়ক সব তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশকে না দিয়ে ভারত এই প্রকল্প চূড়ান্ত করেছে, এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে, নির্মাণকাজের দরপত্র পর্যন্ত বাছাই করেছে। এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নদী আইন ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ আইনের লঙ্ঘন। আরও সুস্পষ্টভাবে বললে, এসব ১৯৯৬ সালে সম্পাদিত ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা চুক্তির ৯ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই অনুচ্ছেদে দুই দেশ ন্যায্যতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং কোনো ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে যৌথ নদীর পানি ভাগাভাগি করবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব নীতি বাস্তবায়নের অনিবার্য শর্ত হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে প্রকল্প নিয়ে অবাধ তথ্যবিনিময় এবং এর ভিত্তিতে আলোচনা করা। ভারতের নিজস্ব আইনেও (যেমনঃ ভারতীয় সংবিধান, ইন্টার-স্টেট ওয়াটার ডিসপুটস অ্যাক্ট এবং রিভার বোর্ডস অ্যাক্ট) অন্য রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে অভিন্ন নদীগুলোর ক্ষেত্রে এককভাবে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণের বিষয়ে ভারত এরই মধ্যে যতটুকু এগিয়েছে, তা ভারতের নিজস্ব আইন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন নির্দেশনার মূলনীতি এবং আরও যা গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত ১৯৯৬ সালের চুক্তির বরখেলাপ। একতরফাভাবে প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে ভারত যে আশ্বাস দিচ্ছে, তা শুধু আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য নয়, এটি বিভিন্ন কারণে অবিশ্বাস্যও। প্রথমত, ওয়ার্ল্ড কমিশন অন ড্যামের ২০০০ সালে প্রকাশিত �ড্যাম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট� শীর্ষক সুবিশাল গবেষণা-রিপোর্টে বড় ড্যাম লাভের চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশি করে-পরিষ্কারভাবে এ কথা বলা হয়েছে। শুধু পরিবেশগত দিক দেখলে এসব ক্ষতির মধ্যে রয়েছে বন ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গতকরণ, প্রাণিবৈচিত্র্য বিনষ্টকরণ ও পানির মান (কোয়ালিটি) বিনষ্টকরণ। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয় যে এসব ক্ষতি অধিকাংশ ক্ষেত্রে অমেরামতযোগ্য এবং এ কারণে কিছু দেশ বিশেষ করে আমেরিকা এরই মধ্যে নির্মিত বড় ড্যামগুলো ভেঙে ফেলছে। সামাজিক প্রভাবসংক্রান্ত অংশে কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বড় ড্যামের কারণে বিশেষ করে উজান অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা এবং স্বাস্থ্যের মারাত্মক এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়। কমিশনের মতে ড্যামের কারণে কিছু ক্ষেত্রে সেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ-এ ধরনের সুবিধা হয় বটে, কিন্তু দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর মারাত্মক মূল্য দিতে হয়। ভারত কয়েক লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ করে এর সুবিধার অংশ বাংলাদেশকে দেবে আর মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি নিজ দেশে সীমাবদ্ধ রাখবে, এটি ভাবার কোনো কারণ নেই। দ্বিতীয়ত, ভারতের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্বয়ং মনিপুর, মিজোরাম ও আসামের মানুষ সোচ্চার হয়েছে এর মারাত্মক পরিবেশগত প্রভাবের কথা বিবেচনা করে। মনিপুরের রাজধানী ইমফলে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ২০টি অরাজনৈতিক সংগঠনের ডাকে হরতাল পালিত হয়েছে, আদালতে মামলা করা হয়েছে এবং নিয়মিত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মনিপুরের আদিবাসীদের সংগঠন এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী আপিল জানিয়ে আসছে। আরও উজানের একটি দেশ হিসেবে এই প্রকল্পের ক্ষয়ক্ষতি বাংলাদেশেই বেশি অনুভূত হওয়ার কথা। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা এমনকি যৌথ নদী কমিশনের সব বৈঠকে অভিন্ন কণ্ঠে তাই বলেছেন। তৃতীয়ত এবং সবচেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা। ফারাক্কা ব্যারাজ হলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না-এই দাবি ভারত ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত আমাদের অব্যাহতভাবে শুনিয়ে এসেছে। ১৯৭৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভারত বরং ফারাক্কার কারণে বাংলাদেশের কিছু সুবিধা হবে-এই দাবিও করেছে। ফারাক্কা ব্যারাজের অপূরণীয় ক্ষতির তিক্ত অভিজ্ঞতার পর টিপাইমুখ ড্যাম ক্ষতিকর হবে না-ভারতের এই দাবি অন্ধের মতো মেনে নেওয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। টিপাইমুখ ড্যামের সঙ্গে সঙ্গে ফুলেরতল ব্যারাজ নির্মিত হলে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি ফারাক্কাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফুলেরতল ব্যারাজ নির্মাণের কথা ভারতের আদি প্রস্তাবে রয়েছে। এটি যে এখন তার প্রকল্পের অংশ নয়, সে সংক্রান্ত কোনো দলিল-দস্তাবেজ বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা নেই। আমাদের একটি বড় উদ্বেগ এটিও। ৪� টিপাইমুখ ড্যাম প্রজেক্টের বিষয়ে বাংলাদেশকে তাই অবিলম্বে সরকারিভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে। এ প্রকল্পসংক্রান্ত সব সমীক্ষা, প্রতিবেদন ও প্রকল্পপত্র বাংলাদেশকে দেওয়ার জোর অনুরোধ ভারতকে জানাতে হবে। সব কাগজপত্র যৌথ নদী কমিশন, পানি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে এনে (যেমনঃ টিপাইমুখ ড্যামের পরিবর্তে অনেকগুলো ছোট আকৃতির ড্যাম নির্মাণ করে এবং ফুলেরতলে ব্যারাজ নির্মাণ পরিকল্পনা বwিতল করে) প্রকল্পের সুবিধা (যেমনঃ বিনামূল্যে বাংলাদেশকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জলবিদ্যুৎ দিয়ে) আদৌ বাংলাদেশ সুনিশ্চিতভাবে পেতে পারে কি না, সেটিও আমাদের সৎভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। এই বিবেচনা সম্পূর্ণ হওয়ার আগে ভারতকে এই প্রকল্পের বিষয়ে সব কাজকর্ম বন্ধ রাখার দাবি সরকারকে করতে হবে। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। বন্ধুরাষ্ট্রের কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া আর ন্যায্য উদ্বেগের কথা সঠিকভাবে বলতে পারার সৎসাহস আমাদের সরকারের অবশ্যই থাকা উচিত। বন্ধুরাষ্ট্রকে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি (১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তি) পালনের বাধ্যবাধকতা ্নরণ করিয়ে দেওয়ার মতো দায়িত্ববোধও সরকারের থাকা উচিত। দেশের সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে-এমন প্রকল্পের বিরুদ্ধে আমরা যদি কথা না বলতে পারি, তাহলে আমাদের দেশপ্রেম থাকল কোথায়? আসিফ নজরুলঃ অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়। (সুত্র, প্রথম আলো, ০১/০৬/২০০৯)
07 juin, 2009
Inscription à :
Publier les commentaires (Atom)
Aucun commentaire:
Enregistrer un commentaire